অবিশ্বাস্য ভাবে মাত্র 6000 টাকায় সাজেক + সেন্টমার্টিন এ থেকে এলাম 5 দিন 6 রাত।
অনার্স 2য় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার পরই পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে 10 বন্ধু তৈরী হই সাজেক ভ্রমনের উদ্দেশ্যে। গ্রুপের কল্যাণে ব্যয় সর্ম্পকে যে ধারনা পেয়েছিলাম তা আমাদের বাজেটের থেকে অনেক বড়। তবুও আল্লাহর উপর ভরসা করে ট্যুরের 1 সপ্তাহ আগে 08/01/2018 তারিখে “শ্যামলী পরিবহনে” টিকেট কাটি। ভ্রমনের তারিখ দেওয়া হয় 16/01/2018।
নিচে গ্রুপের মেম্বারদের সুবিধার্থে প্রতিদিনের বিবরন ও খরচ ( সবার শেষে ) সহ বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো (বড় হওয়ার জন্য দুঃখিত)-
Courtesy by my tour mates: Shamim Khan, Sayeed Rafy, Sorthohin Jibon, Sefat Akand Maxon, Abu Saleh Mohammad Hasan, Masud Rahman, Shuvrojit Howlader Joy, Bishajite Karmakar.
1ম রাত (16/01/2018):- রাত 11.15 তে বাস থাকলেও বের হয়ে যাই 09.30 এ। আর 10.00 টার মধ্যে সায়দাবাদ কাউন্টারে পৌছে যাই। তারপর শুধুই অপেক্ষার পালা। অবশেষে রাত 11.30 এ বাস এসে থামে কাউন্টারের সামনে। উঠে বসি সবাই যার যার সিটে। বাস চলতে থাকে নিজের গতিতে। রাতে কুমিল্লা যাত্রাবিরতি দিলে নিজেদের হালকা হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না যেহেতু স্টুডেন্ট ট্যুর। রাতে কুয়াশার জন্য গাড়ী কয়েকবার থেমে আস্তে আস্তে চলতে থাকে গন্তব্যর দিকে।
1ম দিন ও 2য় রাত (17/01/2018):- সকাল 06.50 এর মধ্যে খাগড়াছড়ি পৌছে যাই। নেমে দাঁত ব্রাশ করে যাই চান্দের গাড়ি ঠিক করতে। গাড়ি ঠিক করে শাপলা চত্বরে নাস্তা করে শেষ করে সাজেকের পথে রওনা দেই। সকালবেলা কুয়াশা তাই কেউ গাড়ির ছাদে উঠে নাই। আমি আর এক বন্ধু ছিলাম। ভোর সকাল + গাড়ীর ছাদ + কুয়াশা = অন্যরকম ভালোলাগা। এইভাবে 10.00 টার মধ্যে পৌছে যাই বাঘাইছড়া। ঐখানে প্রতি গাড়ীর পক্ষে একজন যেতে হয়। গিয়ে মোবইল নাম্বার সহ গাড়ী ও যাত্রীদের রেজিস্ট্রেসন করতে হয়। আমাদের গাড়ীর পক্ষে আমি গিয়ে নাম এন্ট্রি করে আসি সাথে মোবাইল নাম্বার দিয়ে আসি। তারপর সকল গাড়ি আস্তে আস্তে জমা হয় সেনাবাহীনির এস্কর্টে। এখান পর্যন্ত এসে সকল গাড়ী অপেক্ষা করে সেনাবাহীনির জন্য । পাহাড়ে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহীনি এসে নিয়ে যায় সকল পর্যটকদের গাড়ী। 11.00 টার দিকে 3 গাড়ী সেনাবাহীনি এসে নিয়ে যায় আমাদের সহ সকল পর্যটকদের। তখন সবাই চান্দের গাড়ির ছাদে। ছাদে বসে যেতে যেতে ই টাকা উসুল আর কষ্ট সার্থক হয়ে যাবে। কত সুন্দর আমার এই সোনার বাংলা। প্রকৃতি দেখে নিজের অজান্তেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসবে “সুবহানাল্লাহ”। কত সুন্দর করে মহান আল্লাহ সাজিয়েছে আমার এই সোনার বাংলাকে। প্রকৃতি দেখতে দেখতে দুপুর 01.00 টায় সাজেক পৌছাই। 30 টাকা করে টিকেট করে প্রবেশ করি ড্রীম ভ্যালী সাজেকে। পৌছেই হোটেল ঠিক করি। সাজেক প্রবেশ করতে 1ম হোটেল টা নাম “মেঘের ঘর রিসোর্ট”। 10 জনের জন্য 1 রুম নেই ভাড়া 2200 টাকা। এক রুমে 3 বেড শেয়ার করে থাকি সবাই। দুপুরের খাবারের জন্য রিসোর্ট এর হোটেল এ অর্ডার করি। প্যাকেজ ম্যনু 140 টাকা যার মধ্যে আছে আলুর ভর্তা (ঝাল), সবজি, মুরগী ভুনা, সরিষা পাতা ভাজি ( এক্সট্রা + স্পেশাল)। হেব্বি একটা খাবার ছিলো তাই সবাই তৃপ্তি করেই খাই। খেয়ে হোটেলের বারান্দায় বসে আড্ডা দেই একত্রে। দুপুর 03.00 টায় গাড়ী নিয়ে বের হই কংলাক পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। গাড়ীতে করে একদম পাহাড়ের নিচ পর্যন্ত যাই। তারপর 5 টাকা করে বাশ কিনে উপরে উঠা শুরু করি। সবাই আস্তে আস্তে উঠলেও আমরা দৌড়ে উঠে যাই। একবারে চুড়ায় উঠে চারদিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে যাই। যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। সেখানে কিছুক্ষন ফটোসেশন করে নেমে আসি। আবার গাড়ীতে চেপে বসি। গাড়ি আমাদের সাজেক 0 কি.মি এর সামনে নামিয়ে দিয়ে হোটেলে চলে যায়। আমরা সাজেক 0 কি.মি. , হ্যালিপ্যাড, সেনাবাহীনির প্রধানের জন্য র্নিমিত “রুন্ময় রিসোর্ট” এর সামনে ছবি তুলে হোটেলের দিকে পা বাড়াই। হোটেলে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। 06.00 – 08.00 যেহেতু জেনারেটর দেয় তাই সবাই যার যার মোবাইল চার্জে দিয়ে কার্ড নিয়ে বসে যাই। রাতের খাবারের জন্য অর্ডার দেই পাহাড়ের “স্পেশাল ব্যাম্বু চিকেন“ আর পরটা। ছোট্ট জীবনে খাওয়া অন্যরকম সেরা খাবার ছিলো ঐটা। এখনো নাকে ঘ্রান পাইতেছি হা–হা–হা।10.00 টার দিকে ডিনার করে একটু রাস্তায় হেটে হোটেলে চলে আসি। হোটেলে এসে বারান্দায় বসে চলতে থাকে গান, নাচ, ফ্রী স্টাইল র্যাপ সাথে বিটবক্সিং।রাত 11.00 পর্যন্ত চলতে থাকে এইভাবে। যেহেতু সেনাবাহীনি নিয়ন্ত্রিত এলাকা তাই হোটেল থেকে বলে 11.00 টার মধ্যে রুমে যেতে। আমরা ও ক্লান্ত ছিলাম সবাই। তাই 11.00 টার দিকে রুমে গিয়ে শুয়ে পরি। গল্প করতে করতে একসময় সবার চোখ বুঝে আসে গভীর নিদ্রায়।
2য় দিন ও 3য় রাত (18/01/2018):- যেহেতু সকাল সকাল বের হতে হবে তাই আগে আগে উঠে দেখি বারান্দায় মেঘ দেখা যাচ্ছে। যা আমাদের প্রত্যাশার বাইরে ছিলো। এতো কাছে থেকে মেঘ দেখা যায় বলেই এর আরেক নাম “মেঘের রাজ্য”। 10.00 টার মধ্যে চেক আউট দিয়ে বের হয়ে গাড়িতে উঠে অপেক্ষা করতে থাকি সেনাবাহীনির জন্য। 10.45 এ সেনাবাহীনির গাড়ি আসলে সবাই রওয়ানা দেই। এবারের গন্তব্য “হাজাছড়া ঝর্ণা”। 12.30 এর দিকে ঝর্ণায় পৌছে যাই। পানি কম ছিলো বলে অনেকে গোসল করতে গিয়ে না করে ই ফিরে এসেছে কিন্তু আমরা ঐ অল্প পানিতে ই ঝর্ণার একবারে নিচে দাড়িয়ে গোসল করি। পানি খুবই ঠান্ডা ছিলো তাই বেশীক্ষণ নেমে থাকা যায় নাই। তাই একটু গোসল করে উঠে এসে আবার নেমে এইভাবে আমরা গোসল শেষ করি। ফিরে এসে ডাব খেয়ে উঠে পরি গাড়ীতে গন্তব্য “ আলুটিলা গুহা” ও “তারেং” । পথিমধ্যে একটা হোটেলে ডিম আর আলু ভর্তা দিয়ে সবাই লাঞ্চ করে নেই। 03.30 এ পৌছাই আলুটিলায়। টিকিট কেটে ও মশাল নিয়ে ঢুকে যাই গুহায়। সে এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা। মনে হবে আদিম কালে চলে এসেছি। 10 মিনিট এর মতো লাগে গুহা পার হতে।তারপর তারেং এ কিছু ছবি তুলি। এই তারেং হলো এমন একটি জায়গা যেখান থেকে সম্পূর্ণ খাগড়াছড়ি শহর দেখা যায়। সেখান থেকে বের হয়ে যাই পাশের “স্বর্ণ মন্দির” এ। সেখান থেকে সোজা যাই খাগড়াছড়ি “ঝুলন্ত ব্রীজ” এ। যা সম্পূর্ণ ট্যুর এর সবথেকে বাজে জায়গা। কিন্তু আশপাশের পরিবেশটা মনোমুগ্ধকর। এখান থেকে ব্যাক করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।আমাদের ড্রাইভার আমাদের খাগড়াছড়ি শহরে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। আগেই বলেছি যে এটা কম্বো ট্যুর তাই আমাদের পরবর্তী স্পট সেন্টমার্টিন যেতে হবে। সেন্টমার্টিন যেতে হলে খাগড়াছড়ি থেকে যেতে হবে চট্টগ্রাম । তাই 07.30 এ “শান্তি পরিবহন“ এ টিকিট কাটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ভাড়া 190 টাকা করে। 2.30 ঘন্টা পর রাত 11.00 টার দিকে পৌছাই চট্টগ্রাম এ। পৌছেই পরে যাই ঝামেলায় আর তা হলো টেকনাফগামী বাসের কাউন্টার খুজে না পাওয়া। রাত তখন 12.00 টার কাছাকাছি আবার সকাল 09.30 এ সেন্টমার্টিন এর শীপ। চিন্তায় প্রচন্ড শীতে ও সবাই ঘেমে যাচ্ছিলাম। আবার যে সি.এন.জি তে করে যাচ্ছিলাম ঐটা করে এক্সিডেন্ট তাই সবাই একটু ঘাবড়ে যাই। অবশেষে রাত 01.00 টায় আল্লাহর রহমতে বাস পেয়ে যাই “সৌদিয়া এক্স“ সিট শেষ 10 টা ভাড়া 400 করে । যেহেতু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যেছে তাই এটা না নিয়ে কোনো উপায় ছিলো না। সিট কনফার্ম করে আমরা যায় রাতের খাবার খেতে। তখনো ভাবি নি যে ট্যুরের সবথেকে বাজে খাবার টা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। যাই হোক একজন খাদক ব্যাতীত কেউ ই খেতে পারলাম না। তাও কোনো আফসোস নাই কারন বাস তো পেয়েছি। 02.00 টার বাস 02.15 তে আসে আমরা উঠে পরি উঠে দেখি সিট ভাঙ্গা। যেহেতু সবাই ক্লান্ত ছিলাম তাই সবাই ঘুমের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও আমি সফল ই ছিলাম।
3য় দিন ও 4র্থ রাত (19/01/2018):- বাস সকাল 06.00 টায় নামিয়ে দেয় “কেয়ারি সিন্দাবাদ” এর কাউন্টারের সামনে। 10 টা টিকেট কাটি জাহাজের আসা যাওয়া ভাড়া 550 টাকা।ঐখান থেকে ঢাকার রির্টান টিকেট ও নিয়ে নেই “সৌদিয় এক্স” এ। ভাড়া 900 করে। সব ঝামেলা শেষ করে যাই নাস্তা করতে। সবাই নাস্তা শেষ করে 09.00 টায় গিয়ে শীপে উঠি। ঠিক 09.30 এ শীপ ছাড়ে। বঙ্গোপসাগড়েরর বুক চিড়ে বাংলাদেশ আর মায়ানমার দেখতে দেখতে আর পিছু নেওয়া একদল সাদা গাঙ্গচিল কে চিপস খাওয়াতে খাওয়াতে 12.30 এ পৌছাই “দারুচিনি দ্বীপ” এ। ঐদিন শুক্রবার ছিলো তাই হোটেল পেতে একটু সমস্যা হলেও বাজারের মধ্যেই পেয়ে যাই নাম “রোজ মেরী রিসোর্ট” । প্রতি রুমে 2 বেড করে ।ভাড়া প্রতি রুম 1000 টাকা।10 জন হওয়ায় আমরা 2 রুম নেই। রুম ঠিক করে যাই সাগড়ে গোসল করতে। 1 ঘন্টা গোসল করে ক্লান্ত হয়ে রুমে আসি। এরপর বের হই লাঞ্চ করতে। অনেক হোটেল থাকলেও আমরা রিসোর্ট এর সাথের টায় করি। প্যাকেজ ম্যানু – সামুদ্রিক মাছ ভাজা, আলু ভর্তা, সবজি আর ডাল মুল্য 100/- । খেয়ে এসে রুমে দেই ঘুম। সন্ধ্যায় বের হই ঘুরতে। রাতের খাওয়ার জন্য অর্ডার করি “পৌষ চাদা” মাছ ফ্রাই আর গরম পরটা। মাছ টা যে কি মজা ছিলো তা লিখে বুঝানো যাবে না। খেয়ে রাতে কার্ড খেলে সব ঘুম।
4র্থ দিন ও 5ম রাত (20/01/2018):- সকালে উঠে ই নাস্তা করে বের হই “ছেড়া দ্বীপ” এর উদ্দেশ্যে যা বাংলাদেশের একমাত্র “প্রাকৃতিক এ্যাকুরিয়াম” নামে পরিচিত। জাহাজ ঘাটে গিয়ে দরদাম করে উঠে পড়ি স্পীডবোটে। 30 মিনিট এ পৌছে যাই লক্ষ্যবস্তু ছেড়াদ্বীপ এ। সেখানে নীল জলরাশি আর প্রবাল এর সাথে ফটোসেশন করে আর 80 টাকা করে ডাব খেয়ে 01.30 ঘন্টা থেকে আবার রওনা দেই। সমুদ্রে গোসল করে হোটেল এ খেতে যাই। সেখানে খেতে পরিচয় হয় এক ইটালিয়ান দার্শনিক নাম “মার্টিন”। সে শুনালো তার ভ্রমনকৃত 30 টা দেশের কথা। বিকেলে সাইকেল ভাড়া করি সবাই এক মটো বন্ধু ছাড়া। সাইকেল 50 টাকা ঘন্টা। সারা বিকাল ঘুরে বেরাই সম্পূর্ন সেন্টমার্টিন। ঘুরে আসি হুমায়ুন আহমেদের “সমুদ্র বিলাস” কটেজ থেকে ও। রাতের খাওয়ার পর চলে যাই জাহাজ ভেরার জেটি টে। সেখানে রাত 03.00 টা পর্যন্ত চলে নাচ, গান, ফ্রি স্টাইল র্যাপ আর বিটবক্সিং। অবশেষে সবাই বুকে হাত দিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে রুমে ফিরে আসি।
5ম দিন ও 6ষ্ঠ রাত (21/01/2018) :- সকাল এ উঠে নাস্তা করে শপিং এ বের হই। যেহেতু বাজেটের থেকে কম খরচ হয়েছে তাই সবাই কম বেশি কেনাকাটা করি। “সেন্ট মার্টিন বাজার” ও “শুটকী পল্লী” তে কেনা কাটা করে রুমে এসে গুছিয়ে চেক আউট দিয়ে দেই 11.00 টার দিকে। যেহেতু জাহাজ 03.00 টায় তাই সবার ব্যাগ গুছিয়ে হোটেল ম্যানেজারের রুমে রেখে আবার বের হই সাইকেল নিয়ে। ফিরে এসে খাবার খেয়ে রওনা হই জাহাজ এর উদ্দেশ্যে। 03.00 টায় জাহাজ ছাড়ে সেন্ট থেকে। আর টেকনাফ এসে পৌছায় 06.00 টায়। বাস “সৌদিয়া এক্স” 06.30 এ আসে কাউন্টারে । সবাই উঠে বসি যার যার সিটে। রাতে খাওয়ার জন্য বাস থামায় বাজে একটা জায়গায়। এমন নামি কোম্পানির কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না। নেই কোনো ওয়াশরুম নেই কোনো ভালো খাবারের দোকান। কয়েকটা নিন্মমানের ফাস্টফুড এর দোকান আছে মাত্র। যেহেতু সবাই ক্ষুর্ধাত তাই বাধ্য হয়ে ঐগুলো ই খেতে হয়।
6ষ্ঠ দিন (22/01/2018) :- সকাল 07.30 এ আমাদের নামিয়ে দেয় কাজলা। সবাই একসাথে চা খেয়ে এক হৃদয় স্মৃতি আবার পরবর্তী ট্যুরের আশা নিয়ে বাসায় ফিরে আসি।
খরচাবলী:- 10 জনের মোট খরচ = 57930 টাকা। জন প্রতি 5793 টাকা।
1ম রাত – (মোট 5460 টাকা)
ঢাকা টু খাগড়াছড়ি বাস( শ্যামলী) = 5200 + খেলার কার্ড = 100 + রাতের খাবার( কেক + পানি) = 160
1ম দিন ও 2য় রাত – (মোট =7520 টাকা)
মিনারেল ওয়াটার =390 + সকালের নাস্তা = 360 + চান্দের গাড়ি অগ্রিম = 1100 + সাজেকে প্রবেশ ফি = 300 + দুপুরের খাবার = 1400 + হোটেল ভাড়া = 2200 + কংলাক পাহাড়ের বাশ = 50 + রাতের চিকেন পরটা = 1720
2য় দিন ও 3য় রাত- (মোট =16700 টাকা)
সকালের নাস্তা = 500 + হোটেল এ বকশিশ = 100 + দুপুরের খাবার = 790 +আলূটিলা গুহা আর মশাল = 300 চান্দের গাড়ী বকশিশ সহ = 8300 + খাগড়াছড়ি টু চট্টগ্রাম (শান্তি) = 1900 + সি.এন.জি = 300 + রাতের খাবার = 510 + চট্টগ্রাম টু টেকনাফ ( সৌদিয়া এক্স) = 4000
3য় দিন ও 4র্থ রাত – (মোট =18630 টাকা)
জাহাজের টিকিট আসা যাওয়া (কেয়ারী সিন্দাবাদ) = 5500 + সকালের নাস্তা = 300 + ঢাকার রির্টান টিকিট (সৌদিয়া এক্স) = 9000 টাকা + সেন্টমার্টিন এ হোটেল ভাড়া = 2000 + দুপুরের খাবার = 1030 টাকা + রাতের পৌষ চাদা মাছ পরোটা = 800 টাকা।
4র্থ দিন ও 5ম রাত – (মোট =7350 টাকা)
হোটেল ভাড়া = 2000 + সকালের নাস্তা = 500 + ছেড়াদ্বীপের স্পীডবোট = 2700 + নারিকেল = 400 + দুপুরের খাবার = 1100 টাকা+ রাতের খাবার = 650 টাকা ।
5ম দিন ও 6ষ্ঠ রাত – (মোট =2270 টাকা)
সকালের নাস্তা = 450 + হোটেল এ টিপস = 200 + লাঞ্চ = 620 + ডিনার = 1000।
বিশেষ ভাবে লক্ষ্যনীয়:
- সাজেক এ খাবার পানি নাই তাই খাগড়াছড়ি থেকে কিনে নিতে হয়।
- সাজেক ও সেন্টমার্টিন কোথাও বিদ্যুৎ নাই। সাজেকে সকাল 08.00-10.00, সন্ধ্যা 06.00-08.00 ও রাত 10.00-11.00 টা জেনারেটর দিতো।তাই পাওয়ার ব্যাংক এর বিকল্প নাই।
- সাজেক এ এয়ারটেল ও রবি ছাড়া কোনো সিমের নেটওয়ার্ক নেই এমনকি গ্রামীনফোনের ও।
- পাহাড় থেকে নামার সময় সর্তক থাকতে হবে। দৌড়ে কোনো ভাবেই নামা যাবে না।
- সাজেক পুরোটা ই সেনাবাহীনি নিয়ন্ত্রিত তাই একটু সাবধান।
- চট্টগ্রাম অঞ্চলের রান্নাটা আমাদের মত না তাই একটু মানিয়ে নিতে হবে।
অবশ্যই পালনীয়:
- দেশটা আমাদের তাই একে পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব ও আমাদের । দয়া করে এসব জায়গায় ময়লা ফেলে আসবেন না।
- সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে সাগরে চিপস বা কোনো ময়লা ফেলবেন না।
- ছেড়াদ্বীপ টা ময়লা মুক্ত রাখুন।
- সম্পূর্ণটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
লিখেছেন – Mohammad Ibrahim